নীলফামারীর জলঢাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারি ও সংখ্যালঘুদের হুমকিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি মো. মাজিদুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী শিপনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ আগস্টের আগে আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন মাজিদুল। ওই সময় একাধিক মামলায় কারাভোগও করেন তিনি। ৫ আগস্টের পর জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার দাবি করে রাতারাতি ‘নব্য দরবেশ’ হিসেবে পরিচিতি পান মাজিদুল। অভিযোগ রয়েছে, জলঢাকা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের অস্ত্রের মুখে বিতাড়িত করে ভবনটি দখল করেছেন তিনি। এছাড়া সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলা প্রকৌশলীকে জিম্মি করে টেন্ডার নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মাজিদুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে এক যুবদল কর্মীকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়। এছাড়া জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব নিয়ে বিগত এক বছর ধরে রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, মাজিদুল মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতাকেও পুনর্বাসন করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ শিপন, যিনি অতীতে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে মাজিদুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'মাজিদুল ও শিপনের কারণে অতিষ্ঠ জলঢাকার মানুষ। আমরা তাঁদের হাত থেকে মুক্তি চাই।'
Join Telegram
Tags:
Amarbangla Feed