‘বেস্ট ইন ব্র্যান্ড কমনিকেশন ২০২৪’ সম্মাননায় ভূষিত হলেন দেবাশীষ দাস

‘বেস্ট
বাংলাদেশের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ও ভিজ্যুয়াল ডিজাইনের জগতকে আলোকিত করে নিজের মুকুটে আরও একটি গৌরবময় পালক যুক্ত করলেন দেবাশীষ দাস। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান লেজার ট্রিট কর্তৃক ডিজিটাল মিডিয়া ও টেলিভিশন গ্রাফিক্সে সৃজনশীলতার ধারাবাহিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অর্জন করেছেন ‘বেস্ট ইন ব্র্যান্ড কমনিকেশন ২০২৪’ সম্মাননা। গত রবিবার (জুন মাসের প্রথম দিকে) উত্তরাতে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে লেজার ট্রিট–এর কর্ণধার এবং বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ড. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম দেবাশীষ দাসের হাতে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার তুলে দেন। জমকালো এই আয়োজনে অংশ নেন দেশের বিশিষ্ট ব্র্যান্ড এক্সপার্ট, কর্পোরেট নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। লেজার ট্রিট–এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেবাশীষ দাস শুধুমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে নয়- একজন ব্র্যান্ড স্টোরিটেলার হিসেবে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, তা তাঁকে করেছে বিশেষভাবে আলাদা। একজন ডিজাইনার কীভাবে ব্র্যান্ডের ভিজ্যুয়াল ভাষা ও আবেগের গল্প বলতে পারেন- দেবাশীষ দাস তার অনন্য উদাহরণ। দেবাশীষ দাস তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে টেলিভিশন প্রোগ্রাম ব্র্যান্ডিং, ডিজিটাল কনটেন্ট কমিউনিকেশন, এবং মাল্টি-প্ল্যাটফর্ম ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি নির্মাণে যে ধরণের অভিনবত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি এনেছেন, তা আজ ব্র্যান্ড কমিউনিকেশনের একটি নতুন মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে। দেবাশীষ দাস বাংলাদেশের টেলিভিশন মোশন গ্রাফিক্স ও সম্প্রচার প্রযুক্তির অগ্রদূতদের একজন। টেলিভিশনের পর্দায় মোহনীয় গ্রাফিক্স আর বাস্তবসম্মত সৃজনশীলতার পেছনে থাকা এক নিরব কারিগর তিনি। ২০০৭ সালে আরটিভিতে মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু হলেও, দ্রুতই তিনি যমুনা টিভি এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের মতো শীর্ষস্থানীয় চ্যানেলে সৃজনশীল নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মাছরাঙা টেলিভিশনে ডেপুটি ম্যানেজার (গ্রাফিক্স) পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তিনি শুধুমাত্র টেলিভিশন শিল্পের সাথেই যুক্ত নন- দীর্ঘদিন ধরে তিনি মোশন গ্রাফিক্স ও অ্যানিমেশন বিষয়ক শিক্ষকতা করে আসছেন। দেবাশীষ দাস বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও ফটোগ্রাফি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করেন, যেখানে তিনি ফটোগ্রাফি, চলচ্চিত্র, অ্যানিমেশন এবং সাংবাদিকতা বিষয়ক পাঠদান করে থাকেন। সম্প্রচার শিল্পের বাইরেও দেবাশীষ দাসের রয়েছে আরেকটি পরিচিতি—বই প্রকাশনা শিল্পে তিনি দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি প্রায় দুই শতাধিক বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন এবং কাজ করেছেন দেশবরেণ্য লেখকদের সঙ্গে। বাংলাদেশের টেলিভিশন সম্প্রচার শিল্পে রিয়েল-টাইম গ্রাফিক্স, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভার্চুয়াল সেট প্রযুক্তির প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি যোগ করেছেন এক নতুন মাত্রা। পুরস্কার পেয়ে দেবাশীষ দাস জানান, এ ধরনের স্বীকৃতি কাজের ক্ষেত্রে যেমন উৎসাহ জোগায়, তেমনি দায়িত্বও বাড়িয়ে দেয়। আজও দেবাশীষ দাস নিরবচ্ছিন্নভাবে উদ্ভাবন, শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণার মাধ্যমে মিডিয়া ও সমাজের অগ্রগতিতে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি কেবল একজন ব্রডকাস্ট গ্রাফিক্স বিশেষজ্ঞ নন—তিনি এক পথপ্রদর্শক, ভবিষ্যৎ নির্মাতা এবং বাংলাদেশের গর্বিত প্রতিনিধি। “লেজার ট্রিট-এর বেস্ট ইন ব্র্যান্ড কমনিকেশন ২০২৪” পুরস্কার তাঁর পেশাগত জীবনের মুকুটে যুক্ত করেছে আরও একটি গৌরবোজ্জ্বল পালক। আমারবাঙলা/ইউকে

Join Telegram

Post a Comment

Previous Post Next Post