লোপেজ নিজেকে অযোগ্য মনে করতেন

লোপেজ
অনেক বাধা পেরিয়ে লাতিন আমেরিকান নারী হিসেবে হলিউড আর বিশ্বসংগীতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন জেনিফার লোপেজ। গত দুই যুগের পপ সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য নাম ৫৫ বছর বয়সী এই তারকা। সম্প্রতি ভ্যারাইটি অ্যাওয়ার্ড সার্কিট পডকাস্টে নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এই গায়িকা-অভিনেত্রী। দেশি দর্শকের কাছে অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজই আগে পরিচিত। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া তার সুপারহিট সিনেমা ‘অ্যানাকন্ডা’। একবার কেউ এক ধরনের চরিত্রে সাফল্য পেলে তাকে নিয়ে সাধারণত সেই ঘরানার ছবিই হয়। আর লোপেজের চেহারায় একটা ‘বুনো’ ভাবও ছিল। প্রযোজকেরা তাই তাকে নিয়ে মূল ধারার অ্যাকশন সিনেমা করার কথাই ভেবেছেন বেশি। এটি নিয়েই তার বেশি আক্ষেপ। লোপেজ মনে করেন, লাতিন নারীদের সবাই কেবল প্রথাগত চরিত্রের জন্যই ভেবেছেন। তিনি বলেন, আমরা কি রোমান্টিক সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে পারি না? পাশের বাড়ির মেয়ে টাইপ চরিত্রের জন্যই কেউ ভাবেন না। কেন? এখন অবশ্য ধীরে ধীরে অবস্থা বদলাচ্ছে। লোপেজ বলেন, সব ভালো জিনিস নাকি আস্তেধীরে হয়। এটিও তা–ই হচ্ছে। তবে যা হওয়ার, সেটি হলেই হলো। লোপেজের মা-বাবা দুজনই পুয়ের্তোরিকান। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর তাদের পরিচয়। ছোটবেলায় লাতিন আমেরিকান প্রতিবেশীদের সান্নিধ্যে বড় হয়েছেন লোপেজ। বড় হওয়ার পর গান বা অভিনয়ে বারবারই নতুন কিছু করতে চেয়েছেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল তার ইমপোস্টার সিনড্রোম। এটি এমন এক ধরনের মানসিক অবস্থা যখন একজন মানুষ নিজের যোগ্যতা বা অর্জনকে সন্দেহের চোখে দেখে, নিজেকে মনে করে অযোগ্য। মনে মনে লোপেজের ভয়, অন্যরা হয়তো তার অযোগ্যতা জেনে যাবেন। সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন লোপেজ। তার ভাষ্যে, ইমপোস্টার সিনড্রোম সত্যিই এক জটিল ধাঁধা। আপনি যখন ভিন্ন কোনো পরিবেশ থেকে আসবেন, এটি দ্বিধা তৈরি করবে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। মনে হতো, আমি কি এটি পারব? একে সরিয়ে আমাকে জায়গা করে নিতে হবে, সে জন্য হয়তো আমার যোগ্যতা নেই, এমনও মনে হতো। লোপেজের নতুন সিনেমা ‘আনস্টপেবল’। উইলিয়াম গোল্ডেনবার্গের এ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক লোপেজের সাবেক স্বামী বেন অ্যাফ্লেক। আগামী শুক্রবার ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেখা যাবে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। গত সেপ্টেম্বরে টরন্টো উৎসবে মুক্তির পর প্রশংসিত হয়েছিল সিনেমাটি। আমারবাঙলা/এমআরইউ

Join Telegram

Post a Comment

Previous Post Next Post